Adonais Bangla Summary and Analysis

Adonais Bangla Summary and Analysis

Brief Biography P. B. Shelley

Adonais Bangla Summary

পার্সি বিশি শেলি (P. B. Shelley) ১৭৯২ সালের ৪ আগস্ট ইংল্যান্ডের হর্সহ্যামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রোমান্টিক যুগের অন্যতম প্রধান কবি এবং তার সময়ের সবচেয়ে প্রগতিশীল ও বিপ্লবী লেখকদের একজন। শেলি তার কবিতার মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন।

তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও ঈশ্বরবাদের বিরুদ্ধে লিখিত একটি পুস্তিকা প্রকাশের কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। শেলি তার সাহসী ও মুক্ত চিন্তার জন্য পরিচিত ছিলেন।

শেলির বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে Ode to the West Wind, Prometheus Unbound, To a Skylark, এবং Adonais। তার বেশিরভাগ কবিতায় প্রকৃতি, স্বাধীনতা, এবং মানবতার প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন দেখা যায়।

১৮১৬ সালে শেলি মেরি শেলিকে (যিনি Frankenstein এর লেখক) বিয়ে করেন এবং পরবর্তী জীবনের বেশিরভাগ সময় ইতালিতে কাটান। ১৮২২ সালের ৮ জুলাই একটি নৌকাডুবিতে মাত্র ২৯ বছর বয়সে শেলির মৃত্যু হয়।

শেলির জীবন ও সাহিত্য পরবর্তী প্রজন্মের কবি ও লেখকদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাকে মানবিক আদর্শ এবং রোমান্টিক আন্দোলনের এক অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়।

Who is Adonis

গ্রিক মিথলজি অনুসারে এডোনিস ছিল একজন খুব সুদর্শন যুবক। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গ্রিক দেবী Aphrodite (ভালোবাসার দেবী) তাকে ভালোবেসে ফেলেন। কিন্তু একদিন শিকার করার সময়ে বন্য শুকরের আঘাতে Adonis মারা যায়। তাই Aphrodite খুব কষ্ট পান।

Background of the Poem Adonais

পার্সি বিশি শেলির শোকগাথা Adonais গ্রিক পুরাণ থেকে অনুপ্রাণিত এবং এটি কবি জন কিটসের অকাল মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লেখা। কবিতার প্রেক্ষাপট ক্লাসিকাল পুরাণ, শেলির ব্যক্তিগত শোক এবং তৎকালীন সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।

গ্রিক পুরাণের প্রভাব: গ্রিক পুরাণ অনুসারে, অ্যাডোনিস ছিলেন এক অতুলনীয় সুদর্শন যুবক, যিনি ভালোবাসার দেবী অ্যাফ্রোডাইটের মন জয় করেন। তবে, এক শিকার অভিযানে বন্য শুকরের আক্রমণে অ্যাডোনিসের মৃত্যু ঘটে, যা অ্যাফ্রোডাইটকে গভীরভাবে ব্যথিত করে। দেবতাদের রাজা জিউস তার অনুরোধে অ্যাডোনিসকে জীবিত করে তোলেন এবং তাকে প্রতি বছর ছয় মাসের জন্য অ্যাফ্রোডাইটের সাথে থাকার অনুমতি দেন।

আরো পড়ুনঃ To a Skylark Bangla Summary

Adonais কবিতায়, শেলি এই পুরাণে কিছুটা পরিবর্তন আনেন। তিনি “Adonis” নামটি পরিবর্তন করে “Adonais” করেন এবং অ্যাফ্রোডাইটকে অ্যাডোনাইসের মা হিসেবে উপস্থাপন করেন, প্রেমিকা নয়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে শেলি পুরাণের উপাদানগুলোকে কবিতার শিল্পকর্ম এবং মৃত্যুর বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই করে তোলেন।

ঐতিহাসিক ও ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপট: লেই হান্ট, একজন ইংরেজ কবি, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক, শেলি এবং কিটস উভয়েরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৮১৬ সালে তিনিই শেলি ও কিটসের পরিচয় করিয়ে দেন। প্রথমদিকে, শেলি কিটসের Endymion কবিতার খুব একটা প্রশংসা করেননি। তবে, Hyperion পড়ার পর তিনি কিটসের প্রতিভা এবং সমাজের গভীর প্রতিফলন নিয়ে তার প্রশংসা করেন। এই সম্পর্কের মাধ্যমে শেলি কিটসের জন্য পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন।

যখন শেলি তার স্ত্রী মেরি শেলির সাথে ইতালি ভ্রমণে ছিলেন, তখন জন কিটস গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেলি চিঠির মাধ্যমে কিটসকে পিসা শহরে আসার আমন্ত্রণ জানান, যেখানে তারা একসাথে থাকতে পারবেন এবং হয়তো কিটসের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। কিন্তু কিটস পিসায় না গিয়ে রোমে চলে যান, যেখানে তিনি চিত্রশিল্পী জোসেফ সেভার্নের সঙ্গে থাকেন। মাত্র সাত সপ্তাহ পরে, শেলি জানতে পারেন যে, জন কিটস ২৫ বছর বয়সে রোমে মারা গেছেন।

শেলির শোক ও সাহিত্যিক প্রতিক্রিয়া: কিটসের অকাল মৃত্যু শেলিকে গভীরভাবে আঘাত করে। তিনি কিটসের জীবন ও মৃত্যুকে গ্রিক পুরাণের অ্যাডোনিসের জীবনের সাথে তুলনা করেন। এই মিল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেলি Adonais কবিতাটি রচনা করেন, যেখানে পুরাণের উপাদান এবং ব্যক্তিগত শোক একসাথে মিশে যায়।

শেলির এই শোকগাথা তার প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানায় এবং কিটসকে এক অনন্য প্রতিভা হিসেবে চিরন্তন করে তোলে। এই কবিতায় তিনি জীবনের ক্ষণস্থায়িতা, শিল্পের অমরত্ব, এবং মৃত্যুর ওপারে আত্মার পরিপূর্ণতাকে তুলে ধরেন।

Adonais Key Facts

Author: Percy Bysshe Shelley (1792 – 1822)

Full Title: Adonais: An Elegy on the Death of John Keats, Author of Endymion, Hyperion, etc.

Written Date: 1821

Publication Date: 1821

Genre: Pastoral Elegy

Tone: Elegiac and Mournful

Total Stanzas: 55 Spenserian Stanzas.

Total Lines: 495

Rhyme Scheme: ababbcbcc

Setting: Time Setting: 1821 at the death of John Keats 

Place Setting: Pisa, Italy.

Adonais Characters

Adonais: John Keats-এর প্রতি উল্লেখ। গ্রিক পুরাণে Adonis ছিলেন এক সুন্দর যুবক, যাকে Aphrodite ভালোবাসতেন। এখানে Adonis-এর রূপ ও কাব্যপ্রতিভাকে Keats-এর প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

Urania: জ্যোতির্বিজ্ঞানের মিউজ। কবিতার শুরুতে তাকে কবি প্রেরণা ও দিশারী হিসেবে আহ্বান করেছেন।

Aphrodite: ভালোবাসার গ্রিক দেবী। তিনি Adonis-কে ভালোবাসতেন।

Hyacinthus: গ্রিক পুরাণের চরিত্র, যাকে Apollo ভালোবাসতেন। তার মর্মান্তিক মৃত্যু Keats-এর অকালপ্রয়াণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

Plato: প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, যার নাম কবিতায় অমর জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

The Pilgrim of Eternity: Lord Byron-এর প্রতি ইঙ্গিত, যিনি Keats এবং Shelley-এর বন্ধু ছিলেন। Byron-এর কবিতার জগৎ থেকে প্রস্থানের বিষয়ে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

The inheritors of unfulfilled renown: এটি অন্য কবি ও লেখকদের নির্দেশ করে, যারা Keats-এর পথ অনুসরণ করতে পারেন কিন্তু তাকে কখনোই পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।

আরো পড়ুনঃ The Rime of the Ancient Mariner Bangla Summary and Analysis

Melpomene: গ্রিক পুরাণের মিউজ, যিনি ট্র্যাজেডির সাথে যুক্ত। কবিতায় তাকে Adonais-এর জন্য বিলাপ করতে দেখানো হয়েছে, যা Keats-এর অকাল মৃত্যুর মর্মান্তিকতাকে চিহ্নিত করে।

Apollo: কবিতা ও কলার গ্রিক দেবতা। কবিতায় Apollo কবি ও সৃজনশীলতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন।

Pan: গরু-পালক ও প্রকৃতির গ্রিক দেবতা, যিনি সাধারণত গ্রামীণ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। Pan-এর মাধ্যমে Keats-এর কবিতার কণ্ঠস্বর হারানোর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

Themes of Adonais

  1. Mortality: কবিতাটি মানুষের জীবনের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং মৃত্যুর অনিবার্যতা নিয়ে প্রতিফলন করে। Shelley Adonis চরিত্রটি ব্যবহার করে John Keats-এর অকাল মৃত্যুকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরেছেন।
  2. Grief and Mourning: Keats-এর মৃত্যুর জন্য গভীর দুঃখ এবং শোক প্রকাশ করা হয়েছে। Shelley বেদনাদায়ক এবং করুণ চিত্র ব্যবহার করে এই ক্ষতির অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন।
  3. Immortality of Art: Shelley মনে করেন, কবিতা ও শিল্প মৃত্যুকে অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে। তিনি বিশ্বাস করেন যে Keats-এর কবিতা তাকে অমর করে তুলবে, যদিও তার শারীরিক জীবন শেষ হয়ে গেছে।
  4. Mythological and Classical References: গ্রিক পুরাণ এবং ধ্রুপদী সাহিত্যের বহু রেফারেন্স কবিতায় দেখা যায়। Shelley Keats-এর সঙ্গে পুরাণের বিশিষ্ট চরিত্রদের তুলনা করেছেন, যা তার মহিমা ও কাব্য প্রতিভাকে তুলে ধরে।
  5. Nature and the Sublime: Shelley প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মহত্ত্বের ধারণা ব্যবহার করেছেন। কবিতায় প্রকৃতির উজ্জ্বল চিত্রের মাধ্যমে Keats-এর কাব্যিক প্রতিভার মহিমা তুলে ধরা হয়েছে।

এই থিমগুলো Keats-এর স্মৃতিতে Shelley’s শোক, প্রশংসা এবং দর্শনকে একত্রিত করে কবিতাটিকে গভীর ও মহৎ করে তুলেছে।

Adonais Bangla Summary

অ্যাডোনাইস লেখার অনুপ্রেরণা: “অ্যাডোনাইস” ১৮২১ সালে প্রকাশিত পার্সি বিশি শেলির একটি বিখ্যাত কবিতা। এটি একটি শোকগাথা (elegy), যা কবি জন কিটসের স্মৃতিতে রচিত। শেলি তার প্রিয় সহকবি কিটসের অকাল মৃত্যুকে ঘিরে শোক প্রকাশ করেছেন। এই কবিতাটি মৃত্যুর প্রকৃতি, শৈল্পিক উত্তরাধিকার, এবং কাব্যিক সৃষ্টির শক্তি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করে।

১. কিটসের মৃত্যুতে শেলির শোক: কবিতাটি শুরু হয় শেলির গভীর শোক দিয়ে। তিনি কিটসকে “অ্যাডোনাইস” নামে উল্লেখ করেছেন, যা পৌরাণিক সৌন্দর্য এবং তারুণ্যের প্রতীক। শেলি কিটসের কবি প্রতিভা এবং সম্ভাবনার প্রতি জোর দেন। তিনি কিটসের জীবনকে একটি ফুলের সাথে তুলনা করেছেন, যা অকালেই ঝরে পড়েছে।

শেলি এখানে কিটসকে অতীতের মহান কবিদের (যেমন এডমন্ড স্পেন্সার এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়র) সাথে তুলনা করেছেন। তার মতে, কিটসের কবিতা একই ধরনের কালজয়ী গুণাবলী বহন করে। তবে কিটসের অল্প বয়সে মৃত্যু শেলির জন্য গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২. কিটসের মৃত্যুর কারণ: শেলি মনে করেন, কিটসের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল সমালোচকদের কঠোর আক্রমণ। জীবদ্দশায় কিটস তার কবিতার জন্য অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। শেলি সমালোচকদের তীব্র নিন্দা করেন এবং তাদেরকে কিটসের প্রতিভা নষ্ট করার জন্য দায়ী করেন।

শেলি বলেন, কিটসের প্রতিভাকে সময়মতো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং তাকে সমর্থন করার পরিবর্তে, সমালোচনার মাধ্যমে তাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। শেলি এই উপেক্ষার জন্য কাব্য জগত এবং সমাজকে দায়ী করেন।

আরো পড়ুনঃ Don Juan Canto – 1 Bangla Summary 

৩. কিটসের আত্মার অমরত্ব: কবিতার মধ্যভাগে শেলি কিটসের আত্মার অমরত্বের কথা বলেন। শেলির মতে, মৃত্যুর মাধ্যমে কিটস পৃথিবীর সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং তিনি এখন মহাবিশ্বের চিরন্তন সত্যের সাথে একীভূত। শেলি মৃত্যু সম্পর্কে একটি দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি বলেন, মৃত্যু কোনো শেষ নয় বরং একটি রূপান্তর।

শেলির মতে, কিটসের কবিতা এবং চেতনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রেরণা দিতে থাকবে। এটি একটি বিদেহী আত্মার শক্তি এবং এর চিরস্থায়ী প্রভাবকে চিত্রিত করে।

৪. মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবন ও শিল্পের অমরত্ব: শেলি মানবজীবনের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং পার্থিব অর্জনের অস্থিরতা নিয়ে চিন্তা করেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবন যতই স্বল্পস্থায়ী হোক না কেন, শিল্পের মধ্যেই প্রকৃত অমরত্ব নিহিত। কিটসের কবিতা মানুষের হৃদয় ও মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।

৫. কবিতার শক্তি: শেলি কাব্যের শক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তার মতে, কবিতা সময় এবং মৃত্যুর সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। এটি একজন কবিকে চিরস্থায়ী করে তোলে এবং একটি উত্তরাধিকার তৈরি করে, যা ভবিষ্যতেও মানুষের মনে বেঁচে থাকে।

“অ্যাডোনাইস” এর শেষ অংশে শেলি কিটসের মৃত্যুতে তার শোককে অমরত্বের আনন্দে রূপান্তর করেন। তিনি পরামর্শ দেন যে, কিটস এখন এমন এক শান্তিময় জায়গায় আছেন যেখানে পৃথিবীর কোনো কষ্ট তাকে ছুঁতে পারবে না।

শেলি নিজেকে কিটসের মতো কবির বন্ধু হিসেবে গর্বিত মনে করেন এবং বলেন যে কিটসের কাব্যিক উত্তরাধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে। কবিতাটি মৃত্যু, শোক, এবং শিল্পের শক্তির একটি গভীর ও চিরস্থায়ী প্রতিচ্ছবি হিসেবে রয়ে গেছে।

Sima Khatun
Sima Khatun

আমি সিমা খাতুন। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স
কমপ্লিট করেছি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য সহজভাবে শেখাতে কাজ করি। শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই আমার লক্ষ্য।

Articles: 128