London 1802 Bangla Summary and Analysis

London 1802 Bangla Summary and Analysis

Brief Biography of William Wordsworth

William Wordsworth

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। প্রকৃতি, আবেগ এবং মানুষের জীবনের সরলতাকে তিনি তাঁর কবিতার মাধ্যমে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

শৈশব ও শিক্ষা: ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম ১৭৭০ সালের ৭ এপ্রিল ইংল্যান্ডের ককারমাউথে, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। শৈশবেই তিনি তাঁর মা-বাবাকে হারান, যা তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। হকশেড গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করার সময় থেকেই প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তিনি কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজে ভর্তি হন এবং ১৭৯১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

পারিবারিক জীবন: ডরোথি ওয়ার্ডসওয়ার্থ, তাঁর বোন, ছিলেন তাঁর সেরা বন্ধু এবং সঙ্গী। তাঁদের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে, ডরোথি তাঁর অনেক কবিতার প্রেরণা ছিলেন। ১৮০২ সালে ওয়ার্ডসওয়ার্থ তাঁর শৈশবের বন্ধু মেরি হাচিনসনকে বিয়ে করেন। তাঁদের একসঙ্গে পাঁচটি সন্তান ছিল, যদিও তাঁদের মধ্যে অনেকেই অল্প বয়সে মারা যান, যা তাঁকে মানসিকভাবে গভীরভাবে আঘাত করে।

সাহিত্যিক জীবন: ১৭৯৮ সালে প্রকাশিত Lyrical Ballads, যা স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের সাথে যৌথভাবে রচিত, রোমান্টিক আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে। এই গ্রন্থের ভূমিকা রোমান্টিক কাব্যধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাঁর বিখ্যাত কবিতা Tintern Abbey এই সংকলনের অংশ, যা প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে।

আরো পড়ুনঃ Ode to a Nightingale Bangla Summary

১৮০৫ সালে তিনি তাঁর আত্মজীবনীমূলক মহাকাব্য The Prelude রচনা করেন, যা তাঁর কাব্যিক যাত্রা ও মানসিক বিকাশকে চিত্রিত করে। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে I Wandered Lonely as a Cloud (Daffodils), Ode: Intimations of Immortality এবং It is a Beauteous Evening, Calm and Free।

তাঁর ভাবনা ও প্রকৃতি: ওয়ার্ডসওয়ার্থ বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির মাঝে ঈশ্বরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাঁর কবিতায় প্রকৃতিকে শুধু চাক্ষুষ সৌন্দর্যের উৎস নয়, বরং আধ্যাত্মিক শক্তি ও মানবিক শান্তির এক পরম আশ্রয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

পোয়েট লরিয়েট: ১৮৪৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডের পোয়েট লরিয়েট নিযুক্ত হন। এই পদে থাকা অবস্থায়ও তিনি কবিতা রচনা অব্যাহত রাখেন এবং তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কবিতা এবং প্রকৃতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা ধরে রাখেন।

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার: ১৮৫০ সালের ২৩ এপ্রিল উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর, The Prelude প্রকাশিত হয়, যা তাঁকে রোমান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রকৃতি ও মানবজীবনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আজও পাঠকদের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত করে চলেছে।

ওয়ার্ডসওয়ার্থের জীবন ও সাহিত্য আমাদের শিখিয়ে যায় কীভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মানুষের আবেগকে একই ছন্দে বেঁধে রাখা যায়।

London 1802 Key Facts 

Author: William Wordsworth (1770-1850)

Full title: London, 1802

Title of the Author: Poet Laureate of the United Kingdom from (1843-50)/ Most influential romantic poet/ Lake Poet/ Poet of Nature 

Written Time: 1802

Published date: In 1807 as part of his collection of poems, “Poems in Two Volumes.”

Genre: Sonnet, Petrarchan sonnet, Romantic Poetry.

Tone: Reflective, Mournful and Praising.

Total Lines: 14

Stanzas: 2. (Octave and Sestet.)

Rhyme Scheme: Octave-abba abba Sestet- cdd ece.

Setting: Time Setting: 1802, during the moral and political decay.

Place Setting: London, England.

London 1802 Characters 

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ: কবি নিজেই এই কবিতার বর্ণনাকারী। তিনি তাঁর সময়ের লন্ডনের জনগণের প্রতি গভীর হতাশা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অতীতের এক মহৎ ব্যক্তির পুনরাগমনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন, যিনি তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন।

জন মিল্টন: ১৭শ শতকের বিখ্যাত ইংরেজ কবি এবং Paradise Lost এর স্রষ্টা। ওয়ার্ডসওয়ার্থ মিল্টনকে একজন আদর্শ চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যিনি তাঁর নৈতিক শক্তি এবং উচ্চ আদর্শ দিয়ে লন্ডনের অধঃপতিত জনগণকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারেন।

লন্ডন: লন্ডন শহরকে এখানে পরোক্ষভাবে একটি চরিত্র হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এটি কবির চোখে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলির অভাবে অধঃপতিত, কলুষিত এবং সমস্যায় জর্জরিত।

আরো পড়ুনঃ Ode on a Grecian Urn Bangla Summary 

লন্ডনের জনগণ: এই জনগণকে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়ার্ডসওয়ার্থের দৃষ্টিতে তাঁরা নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক দিক থেকে পথহীন, যারা মিল্টনের মতো একজন মহৎ ব্যক্তিত্বের প্রভাব প্রয়োজন অনুভব করে, যাতে তাঁদের গুণাবলি এবং উদ্দেশ্য পুনরুদ্ধার করা যায়।

London 1802 Themes

নৈতিকতার অধঃপতন: ওয়ার্ডসওয়ার্থ তাঁর সময়ের লন্ডনের মানুষের নৈতিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের পতনের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, লন্ডনের জনগণ তাদের ন্যায়বোধ, কর্তব্যপরায়ণতা এবং ঐক্য হারিয়ে ফেলেছে।

মহান ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন: কবিতায় জন মিল্টনের প্রতি আহ্বানের মাধ্যমে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে একজন মহৎ ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন। মিল্টন এখানে নৈতিকতার মূর্ত প্রতীক।

প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ হারানো: ওয়ার্ডসওয়ার্থ মনে করেন, লন্ডনের মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সংযোগ হারিয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই তাদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির চাবিকাঠি।

আত্মত্যাগ এবং নিঃস্বার্থতার অভাব: কবিতায় কবি লন্ডনের জনগণের মধ্যে আত্মত্যাগ এবং নিঃস্বার্থতার অভাব লক্ষ্য করেছেন। তিনি মিল্টনের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি সমাজে এই গুণাবলির প্রয়োজন।

ঐতিহ্য ও অতীতের গৌরব: কবিতায় অতীতের গৌরব এবং মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। কবি মনে করেন, জন মিল্টনের মতো মহৎ ব্যক্তিত্বেরা অতীতে যেভাবে সমাজকে আলোকিত করেছেন, বর্তমানে তাদের অনুপ্রেরণা অত্যন্ত জরুরি।

আধ্যাত্মিকতা ও ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ: ওয়ার্ডসওয়ার্থ বিশ্বাস করেন, জন মিল্টনের আধ্যাত্মিকতা এবং ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস তাঁর সময়ের সমাজে পুনরায় স্থাপন করা প্রয়োজন। এই আধ্যাত্মিকতা মানুষকে নৈতিকতার পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।

আরো পড়ুনঃ Ode on Melancholy Bangla Summary and Analysis

সমাজের অবক্ষয়: কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থ লন্ডনের সামাজিক, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক অবক্ষয়কে চিত্রিত করেছেন। এটি রোমান্টিক আন্দোলনের সেই দিকটি তুলে ধরে, যেখানে শিল্প, প্রকৃতি এবং নৈতিকতা পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।

London 1802 Background

ফ্রান্সে ফরাসী বিপ্লব হয় ১৭৮৯ সালে। আর ১৭৯৯ এর শেষে পুরো ইউরোপজুড়ে অরাজকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। এর তিন বছর পর ১৮০২ সালে ইংল্যান্ড জুড়ে চলছিলো দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয়, ও অর্থনৈতিক মন্দা। কবি তখন “London-1802” কবিতাটি লিখেন। 

মানুষের নৈতিক অবক্ষয় দেখে কবি John Milton এর মতো আদর্শবান লোকের অভাব অনুভব করছিলেন। তাই Wordsworth মিল্টনকে সম্বোধন করে London, 1802 লিখেন। Wordsworth এই ইচ্ছা পোষণ করেন যে, মিল্টন আবার ফিরে এসে ইংল্যান্ডের মানুষদের নৈতিক শিক্ষা দেবেন।

London 1802 Bangla Summary

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের London, 1802 একটি সনেট, যেখানে কবি তাঁর সময়ের লন্ডন শহরের নৈতিক অধঃপতন এবং আধ্যাত্মিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অতীতের মহান ইংরেজ কবি জন মিল্টনের আদর্শকে স্মরণ করে, তাঁর মতো একজন নেতার প্রয়োজন অনুভব করেছেন, যিনি জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন।

মিল্টনের প্রতি আহ্বান: কবিতা শুরু হয় জন মিল্টনের প্রতি সরাসরি আহ্বান দিয়ে। ওয়ার্ডসওয়ার্থ মনে করেন, মিল্টন ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তাঁর নৈতিক শক্তি, সাহস এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারতেন। কবি মিল্টনের চরিত্রকে “শক্তিশালী, পবিত্র এবং নিঃস্বার্থ” বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন, তিনি স্বর্গীয় শক্তির মতো উজ্জ্বল ছিলেন।

লন্ডনের অবস্থার বর্ণনা: এরপর কবি লন্ডনের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। তাঁর দৃষ্টিতে, লন্ডন একটি নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অধঃপতিত শহর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের মধ্যে আগে যে নৈতিকতা, আত্মত্যাগ এবং আদর্শ ছিল, তা এখন আর নেই। কবি বলেন, লন্ডন কলুষিত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলির অভাবে ভুগছে। মানুষের চরিত্রে স্বার্থপরতা ও আত্মমুগ্ধতার প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ To a Skylark Bangla Summary

জাতীয় মূল্যবোধের সংকট: ওয়ার্ডসওয়ার্থ উল্লেখ করেন, লন্ডনের মানুষ তাঁদের পূর্বপুরুষদের মহত্ত্ব এবং ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের মধ্যে ন্যায়বোধ, বিশ্বাস, কর্তব্যপরায়ণতা এবং ঐক্যের অভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, জন মিল্টনের মতো একজন মহৎ ব্যক্তি তাঁদের মধ্যে এই গুণাবলি ফিরিয়ে আনতে পারতেন।

মিল্টনের আদর্শিক প্রভাব: কবি মিল্টনের জীবনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মিল্টনের মতো ব্যক্তিরা শুধু কবি নন, তাঁরা নৈতিক নেতা। মিল্টন ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ, উদার এবং স্বর্গীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত ব্যক্তি, যিনি নিজের জীবনের মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে একটি উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

কবিতা শেষ হয় এই ভাবনার মাধ্যমে যে, লন্ডনের অধঃপতিত অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য মিল্টনের মতো একজন মহৎ ব্যক্তির প্রয়োজন। তাঁর নৈতিক শক্তি, ন্যায়পরায়ণতা এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি জাতিকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করতে পারত।

London, 1802 কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থ মূলত তাঁর সময়ের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক সংকটকে তুলে ধরেছেন এবং অতীতের একজন মহৎ ব্যক্তিত্বের আদর্শিক প্রভাবের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এটি একটি সময়োপযোগী আহ্বান, যেখানে কবি নৈতিকতা ও আদর্শ পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।

Sima Khatun
Sima Khatun

আমি সিমা খাতুন। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স
কমপ্লিট করেছি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য সহজভাবে শেখাতে কাজ করি। শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই আমার লক্ষ্য।

Articles: 128