The Grass is Singing Bangla Summary
Brief Biography of Doris Lessing
ডরিস লেসিং (১৯১৯-২০১৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক। তিনি তার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং সাহসী সাহিত্যকর্মের জন্য পরিচিত। ২০০৭ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রাথমিক জীবন: ডরিস লেসিং-এর জন্ম ইরানে, যা তখন পারস্য নামে পরিচিত ছিল। তার বাবা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির সদস্য এবং মা ছিলেন একজন নার্স। পরে তারা দক্ষিণ রোডেশিয়া (বর্তমান জিম্বাবুয়ে) চলে আসেন, যেখানে ডরিস তার শৈশব কাটান।
সাহিত্যিক অবদান: ডরিস লেসিং তার উপন্যাস, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধের মাধ্যমে আধুনিক সমাজ, ব্যক্তির মনস্তত্ত্ব এবং সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- The Grass is Singing (১৯৫০): উপন্যাসটি উপনিবেশিক আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য এবং ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা নিয়ে লেখা।
- The Golden Notebook (১৯৬২): নারীবাদী সাহিত্যের একটি অগ্রণী কাজ।
- Children of Violence সিরিজ: একজন নারীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিবরণ।
থিম এবং শৈলী: লেসিং-এর কাজগুলোতে উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ, নারীবাদ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
তার লেখায় মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং সামাজিক বাস্তবতার গভীরতা দেখা যায়।
ব্যক্তিগত জীবন: ডরিস লেসিং তার প্রথম স্বামী ফ্রাঙ্ক উইজডমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার জার্মান রাজনৈতিক কর্মী গটফ্রিড লেসিংকে বিয়ে করেন। পরে তিনি লন্ডনে চলে আসেন এবং সেখানেই তার সাহিত্যজীবন পূর্ণতা পায়।
সম্মাননা: ২০০৭ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাকে “নারী অভিজ্ঞতার মহাকাব্যিক কাহিনীকার” বলে অভিহিত করা হয়।
মৃত্যু: ডরিস লেসিং ২০১৩ সালে লন্ডনে মারা যান। তার সাহিত্যকর্ম তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। ডরিস লেসিং ছিলেন একজন অকুতোভয় লেখক, যিনি সমাজের গভীর সমস্যাগুলোকে তার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
The Grass is Singing Key Facts
Full Title: The Grass is Singing
Where Written: Salisbury, Southern Rhodesia (now Harare, Zimbabwe), and London, England
When Published: 1950
Literary Period: 20th century Postcolonial Fiction
Genre: Postcolonial Novel, Murder Mystery
Setting: Southern Rhodesia (now Zimbabwe)
Climax: Mary’s dream, and her death at the hands of Moses shortly thereafter
Point of View: Third-person narrator
The Grass is Singing Characters
মেরি টার্নার (Mary Turner): উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। একজন শ্বেতাঙ্গ নারী, যিনি শহরের আরামদায়ক জীবন থেকে গ্রামীণ জীবনের কষ্টকর বাস্তবতায় অভ্যস্ত হতে পারেন না। তিনি সামাজিক নিয়ম ও সাংস্কৃতিক প্রত্যাশার চাপে ডিক টার্নারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ক্রমবর্ধমান মানসিক ভঙ্গুরতা এবং তার বর্ণবাদী আচরণ তাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
ডিক টার্নার (Dick Turner): মেরির স্বামী। একজন সংগ্রামী কৃষক, যিনি নিজের ফার্ম সফল করতে অক্ষম। তিনি সৎ এবং স্বপ্নবাজ হলেও বাস্তব জীবনের কঠিন সত্যের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন না। তার দারিদ্র্য এবং কাজের প্রতি অবসেশন মেরির সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরো জটিল করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ Crossing the Water Bangla Summary
মোজেস (Moses): টার্নার পরিবারের কালো চাকর, যিনি মেরি এবং ডিকের ফার্মে কাজ করেন। মেরি এবং মোজেসের মধ্যে একটি জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত, মোজেস মেরিকে হত্যা করে, যা উপন্যাসের শুরুর দৃশ্য এবং গল্পের ক্লাইম্যাক্স।
চার্লি স্ল্যাটারস (Charlie Slatters): একজন শ্বেতাঙ্গ কৃষক এবং ডিক টার্নারের প্রতিবেশী। তিনি বর্ণবাদী এবং শোষণকারী চরিত্র। মেরি হত্যার পর তিনি বিষয়টি দ্রুত চাপা দিতে চান, যাতে শ্বেতাঙ্গদের সামাজিক অবস্থান রক্ষা করা যায়।
টনি মার্সডেন (Tony Marston): একজন তরুণ এবং আদর্শবাদী ইংরেজ, যিনি ডিকের ফার্মে নতুন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। তিনি মেরির সাথে তার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক দেখে হতবাক হন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে অক্ষম হয়ে পড়েন।
মেরির বাবা-মা: মেরির ছোটবেলার প্রভাবশালী চরিত্র। তাদের তিক্ত সম্পর্ক এবং অস্থির পারিবারিক পরিবেশ মেরির ব্যক্তিত্ব গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
The Grass is Singing উপন্যাসের থিমসমূহ
ডরিস লেসিং-এর The Grass is Singing উপন্যাসে বিভিন্ন গভীর এবং জটিল থিম তুলে ধরা হয়েছে। এই থিমগুলো ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং উপনিবেশবাদী জীবনের বাস্তবতাকে প্রকাশ করে। নিচে উপন্যাসের প্রধান থিমগুলো বাংলায় আলোচনা করা হলো:
১. বর্ণবৈষম্য (Racial Inequality): উপন্যাসটি দক্ষিণ রোডেশিয়ার বর্ণবৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে। শ্বেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং কালো মানুষের উপর নিপীড়নের মাধ্যমে উপনিবেশবাদী মানসিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে। মেরি এবং মোজেসের সম্পর্ক এই থিমের কেন্দ্রবিন্দু। মেরির মোজেসের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নির্ভরশীলতা সমাজের গভীর বর্ণবৈষম্যকে প্রতিফলিত করে।
২. উপনিবেশবাদ এবং তার প্রভাব (Colonialism and its Consequences): উপন্যাসটি উপনিবেশবাদী শাসনের মানবিক ও সামাজিক পরিণতি তুলে ধরে। শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশবাদীরা আফ্রিকান ভূমি এবং মানুষকে শোষণ করে। উপনিবেশবাদ শুধু শোষিতদের নয়, শোষকদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা মেরি এবং ডিকের চরিত্রে দেখা যায়।
৩. বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব (Isolation and Loneliness): মেরি টার্নারের জীবন একাকীত্বের প্রতীক। শহরের জীবন ছেড়ে গ্রামের কঠোর পরিবেশে চলে এসে তিনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ডিক এবং মেরির বৈবাহিক সম্পর্কেও এই বিচ্ছিন্নতা লক্ষ্য করা যায়, যেখানে উভয়েই একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ।
৪. লিঙ্গ এবং পিতৃতন্ত্র (Gender and Patriarchy): উপন্যাসটি নারীর প্রতি সামাজিক প্রত্যাশা এবং পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার সমালোচনা করে। মেরি তার জীবনে স্বাধীনতা এবং সুখ খুঁজতে ব্যর্থ হন। মেরি বাচ্চাকালের পিতৃতান্ত্রিক শাসনের শিকার এবং পরবর্তীতে বিয়ের মাধ্যমে আরেকটি শাসনের মধ্যে আটকে পড়েন।
আরো পড়ুনঃ Poem in October Bangla Summary
৫. দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক সংগ্রাম (Poverty and Economic Struggles): ডিক টার্নারের ব্যর্থ কৃষিকাজ এবং আর্থিক সংকট উপন্যাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ থিম। দারিদ্র্য তাদের জীবনের মান কমিয়ে দেয় এবং সম্পর্কের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক সংগ্রাম মেরি ও ডিকের সম্পর্ককে আরও খারাপ করে তোলে।
৬. আত্মবিনাশ এবং মনস্তাত্ত্বিক ভেঙে পড়া (Self-Destruction and Psychological Breakdown): মেরির জীবন ক্রমাগত মানসিক অবসাদের দিকে ধাবিত হয়। তার একঘেয়েমি, দারিদ্র্য, এবং সামাজিক সীমাবদ্ধতা তাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। মোজেসের সাথে তার জটিল সম্পর্ক এবং হত্যার ঘটনা এই থিমের পরিপূর্ণ রূপ দেয়।
৭. প্রকৃতির শক্তি বনাম মানব নিয়ন্ত্রণ (Power of Nature vs. Human Control): প্রকৃতির প্রতি ডিকের আস্থার বিপরীতে, তার কৃষিকাজের ব্যর্থতা দেখায় যে প্রকৃতিকে শাসন করার শ্বেতাঙ্গ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। প্রকৃতি উপনিবেশবাদী শাসনের বিপরীতে একটি অজেয় শক্তি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
The Grass is Singing উপন্যাসটি বর্ণবৈষম্য, উপনিবেশবাদ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ব্যক্তিগত সংকটের গভীর বিশ্লেষণ। এই থিমগুলো উপন্যাসটিকে একটি শক্তিশালী সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক দলিল হিসেবে স্থাপন করেছে।
The Grass is Singing Bangla Summary
The Grass is Singing ডরিস লেসিং এর একটি চমৎকার নোভেল। এই নোভেলে রেসিজমের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটির সেটিং দেখানো হয়েছে ১৯৪০ সালের দিকে সাউদার্ন রোডেশিয়ায় (বর্তমানে জিম্বাবুয়ে)।
নোভেলের প্রথম চ্যাপ্টারেই দেখানো হয়, আত্মবিশ্বাসী মেরি টার্নার তার বাড়ির চাকর মোজেজের দ্বারা খুন হয়েছে। মোজেজ নিজে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। চার্লি স্ল্যাটার মেরির মৃতদেহ দেখার পর পুলিশের কাছে খবর পাঠায়। সার্জেন্ট ডেনহ্যাম ছয়জন পুলিশকে পাঠায় এবং মোজেজকে গ্রেফতার করে। বাসার ভেতরে চার্লির এসিস্ট্যান্ট টনি মার্টসন বর্ণনা করে সে কিভাবে বারান্দায় মেরির লাশ দেখতে পায়। সার্জেন্ট ডেনহ্যাম এসে টনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে যায়। টনি ভাবে যে সে কি মেরির খুনের আসল সত্যটা পুলিশকে বলবে কি না। এসব ভাবতে ভাবতে টনি সেই জেলা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। এদিকে বিচারক রায় সেয় যে, মেরিকে হত্যা করার সময় মোজেজ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলো।
দ্বিতীয় চ্যাপ্টার শুরু হয় সাউদার্ন আফ্রিকার দোকানগুলোর বর্ণনা দিয়ে। এই দোকানগুলো সাধারণত খাবার, কাপড় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে। সেখানে মদও বিক্রি হয়। মেরির বাবা তাদের পরিবারের স্বল্প আয়টুকুও নেশা করে শেষ করে দেয়। যার কারণে মেরির বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকে। ছোটবেলাতেই মেরি বড় ভাই ও বোন ডিসেন্ট্রিতে মারা যায়। মেরিকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। ১৬ বছর মেরি বাড়ি থেকে পালানোর চিন্তা করে। মোটামুটি মেরির ২০-২৫ বছরের মধ্যে তার বাবা-মা দুজনই মারা যায়। সে একটি ক্লাবে থাকা শুরু করে এবং একটি অফিসে সেক্রেটারির চাকরি করে।
এর কয়েক বছর পর মেরির বান্ধবীরা সবাই বিয়ে করে ফেলে। মেরি তখন সিঙ্গেল, সুখী, এবং ভাবনাহীন। কিন্তু একফিন তার বান্ধবীরা তার বিয়ে কিছু খারাপ মন্তব্য করে যেটা শুনে মেরি খুব কষ্ট পায়। এরপর সে ৫৫ বছর বয়সী একজন লোক যার বউ মারা গেছে, তার সাথে এএনগেজমেন্ট করে। কিন্তু যখন সেই লোকটি তার সাথে সেক্স করতে চায় তখন সে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
আরো পড়ুনঃ The Lake Isle of Innisfree Bangla Summary
তারপর খুব শীঘ্রই মেরির সাথে ডিকের দেখা হয়। ডিক একজন গরীব কৃষক। তার মন্দ ভাগ্যের জন্য তার প্রতিবেশীরা তাকে “জোনাহ” নামে ডাকে। সে তার দারিদ্র্যের কারণে বিয়ে করতে রাজি হয় না। এদিকে সে মেরির কথাও ভুলতে পারেনা। এরপর সে কয়েক মাস হাড়াভাঙা খাটুনি খেটে মেরিকে প্রপোজ করে এবং মেরিও রাজি হয়। তার দুই সপ্তাহ পর তাদের বিয়ে হয়। ডিকের বাসায় এসে মেরি বেশ বিব্রত হয়। ডিক তার নিগ্রো কাজের লোক স্যামসনের সঙ্গে মেরির পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্তু মেরি স্যামসনকে পছন্দ করে না।
মেরি তার জমানো টাকা দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিসপত্র কেনে। সে তার সময় সেলাই করে বা ঘর সাজিয়েই কাটায়৷ একদিন সে বুঝতে পারে স্যামসন তার কিচমিচ চুরি করেছে যেগুলো সে পুডিং বানানোর জন্য রেখেছিলো। এই ঘটনার জের ধরে সে স্যামসনকে কাজ থেকে বের করে দেয়। ডিকের প্রতিবেশী চার্লি স্ল্যাটার ডিককে তামাক চাষের বুদ্ধি দেয়। কিন্তু ডিক তার কথা শোনেনা। ডিক অনেক কিছু চাষের চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই লাভ হয়না।
এরপর ডিক চিন্তা করে একটি কাফির দোকান খুলবে এবং মেরিকে বকে সেটা চালাতে। প্রথমে মেরি নাকচ করলেও পরে রাজি হয়ে যায়। একদিন দোকান চালানো অবস্থায় মেরির পুরনো অফিসের একটি এড চোখে পড়ে। তাদের অফিসে একজন টাইপিস্ট দরকার। এটা দেখার পরের দিন মেরি ব্যাগ গুছে নিয়ে শহরের দিকে রওনা হয়। সে যে পুরনো ক্লাবে থাকতো সেখানে যায়। কিন্তু তারা জানায় যে তারা ক্লাবে কোনো বিবাহিত মহিলা রাখেন না। এরপর অফিসের সেই টাইপিস্টের পোস্টও আর খালি নেই। এরই মাঝে ডিক শহরে এসে মেরিকে অনুরোধ করে বাড়ি নিয়ে যায়।
একদিন ডিক অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। চার্লি ডাক্তার আনলে ডাক্তার মেরিকে তাদের বাড়িকে মশার হাত থেকে বাঁচতে ঘিরে নিতে বলে। ডিক অসুস্থ থাকাবস্থায় মেরিই ফার্মের দেখাশোনা করে। মেরি একটি চাবুক রাখতো নিজের সাথে। একদিন তাদের ফার্নের কাজের লোক মোজেজ পানি খাওয়ার জন্য জুলুম করলে মেরি সেই চাবুক দিয়ে মোজেজের মুখে আঘাত করে। এই আঘাত মোজেজকে মনে মনে অনেক রাগিয়ে দেয় এবং সে এর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে।
যারা কাজে দেরিতে আসে তাদের দিয়ে মেরি অতিরিক্ত বোঝা বহন করায়। মেরি কালো চাকরদের অপছন্দ করে। তাদেরকে ছোট চোখে দেখে। বাড়ি ফিরে মেরি ডিককে তামাক চাষের পরামর্শ দেয়। ডিক ভেবে চিনতে তামাক চাষ শুরু করে। কিন্তু জানুয়ারির খরায় তামাক গাছ মরে যায়। ডিক নিঃস্ব হয়ে যায় এবং দিনপাত করার জন্য কিছু লোন নেয়। মেরি মোজেজের প্রতি দূর্বল হতে থাকে। সে তার ফিকে তাকিয়ে থাকে এবং মনোযোগ দিয়ে তার কাজ পর্যবেক্ষণ করে।
কয়েক মাস পর, মোজেজ জানায় সে আর কাজ করবে না। এটা শুনে মেরি কষ্ট পায় এবং তাকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করে। মোজেজ তাকে এক গ্লাস পানি দিতে বলে এবং মেরিকে বিছানায় শুতে বলে। তারপর মোজেজ নিজের কোট দিয়ে মেরিকে ঢেকে দেয়। সে আর কাজ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেনা। এদিকে মোজেজ আর মেরির মধ্যে বেশ ভাব জমেছে। মোজেজ এখন বেশ অনাড়ম্বরভাবেই মেরির সাথে কথা বলে। এমনি মেরি মোজেজের কথা মত চলে।
একদিন চার্লি ডিকের কাছে এসে তার ফার্মটা বিক্রি করতে বলে। চার্লি তখন মেরি এবং মোজেজের মধ্যে প্রেমমূলক সম্পর্কের আভাস পায়। এটা দেখে চার্লি ডিককে ফার্ম বিক্রি করে এখান থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এদিকে দুজনের প্রেমকাহিনী পাড়া প্রতিবেশীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। টনি ধারণা করে, মেরি হয়তো পাগল হয়ে গেছে এবং তার ডাক্তার দেখানো উচিৎ। একদিন টনি মোজেজকে মেরির কাপড় পরিধানে হেল্প করতে দেখে। এটা দেখে টনি সিদ্ধান্ত নেয় যে সে ডিককে বলে দিবে যেন মোজেজকে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সন্দ্যায় মোজেজ চলে যায়, আর ফেরত আসে না।
আরো পড়ুনঃ Easter 1916 Bangla Summary
ফার্ম ছেড়ে যাওয়ার দুইদিন আগে, হঠাৎ করে মেরির ঘুম ভেঙে যায়। সে বাড়ির চারদিকে হাটে আর মোজেজের কথা ভাবে। মেরির মনে হয় মোজেজ হয়তো তাদের দোকানের কাছে আছে। এই ভেবে মেরি দোকানের দিকে দৌড়ে যায়। কিন্তু টনি তাকে আটকায়। সে রাতে মেরি রাতের খাবার খায় না। ডিক তাকে জানায় যে সে অসুস্থ। তখন মেরি জানায়, সে মনের দিক থেকে সবসময়ই অসুস্থ ছিলো। ডিক ঘুমিয়ে গেলে মেরি জেগে ওঠে এবং ধারণা করে মোজেজ এসেছে। সে বারান্দায় যায় এবং সেখানে মোজেজকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে৷ মোজেজ তার কাছে আসে, মেরির মুখে হাত রেখে ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে। মেরি মারা যায়। মোজেজ সেখানেই সারারাত বসে থাকে।