The Second Coming Bangla Summary 

The Second Coming Bangla Summary 

Brief Biography of William Butler Yeats

William Butler Yeats

উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (১৮৬৫-১৯৩৯) আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি এবং নাট্যকার। তিনি আয়ারল্যান্ডের স্যান্ডিমাউন্টে জন্মগ্রহণ করেন। ইয়েটস ছিলেন আয়ারল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং তার সাহিত্যকর্মে আয়ারল্যান্ডের কল্পনা ও ঐতিহ্য বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি ১৯২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং তার সাহিত্যিক জীবনে রোমান্টিসিজম থেকে শুরু করে আধুনিকতাবাদের দিকে অগ্রসর হন। ইয়েটসের প্রধান কবিতাগুলোর মধ্যে The Lake Isle of Innisfree, Easter 1916, এবং The Second Coming উল্লেখযোগ্য। তিনি নাটক রচনাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এবং আয়ারল্যান্ডের জাতীয় থিয়েটার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

ইয়েটসের সাহিত্যকর্ম গভীর প্রতীকবাদ এবং মিথের ব্যবহার দ্বারা সমৃদ্ধ। তার মৃত্যু হয় ১৯৩৯ সালে, তবে তার সাহিত্য আজও জীবন্ত এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।

Background of The Second Coming

উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস তার বিখ্যাত কবিতা The Second Coming ১৯১৯ সালে রচনা করেন। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী অশান্ত সময় এবং ইউরোপের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের পটভূমিতে লেখা। কবিতাটি ইয়েটসের নিজস্ব মিথোলজিক্যাল এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে রচিত, যেখানে তিনি মানবজাতির চক্রাকার ইতিহাসের পতন এবং পুনর্জন্মের ধারার কথা উল্লেখ করেছেন।

কবিতার প্রেক্ষাপটে ইয়েটস তার “স্পিরিচুয়াল ভিশন” তত্ত্ব ব্যবহার করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব ইতিহাস একটি চক্রের মতো চলমান এবং প্রতিটি চক্রে বিশৃঙ্খলা, পতন এবং একটি নতুন যুগের জন্ম ঘটে। কবিতায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ, রাশিয়ান বিপ্লব, এবং ইউরোপের সামাজিক অস্থিরতা পরবর্তী বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ Waiting for Godot Bangla Summary And Analysis

ইয়েটস কবিতায় একটি প্রতীকী “দ্বিতীয় আগমন” বা The Second Coming সম্পর্কে বলেছেন, যা খ্রিস্টধর্মের প্রথাগত অর্থের চেয়ে ভিন্ন। এটি নতুন যুগের সূচনা বোঝায়, যা হয়তো আরও বিশৃঙ্খলা এবং অন্ধকার নিয়ে আসবে। কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি শক্তিশালী চিত্রকল্প—”রাফ বিয়াস্ট” বা হিংস্র জানোয়ার, যা নতুন যুগের প্রতীক।

এই প্রেক্ষাপট কবিতাকে গভীর এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দার্শনিকভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি শুধু ইয়েটসের সময়ের নয়, আজও মানবজাতির ক্রান্তিকালীন অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

The Second Coming কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু

১. বিশৃঙ্খলা ও পতন: কবিতায় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা বলা হয়েছে। ইয়েটস মানবসভ্যতার পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যেখানে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

২. ঐতিহাসিক চক্র: ইয়েটস বিশ্বাস করতেন যে মানব ইতিহাস চক্রাকার, এবং প্রতিটি চক্রে পতন ও পুনর্জন্ম ঘটে। কবিতায় একটি পুরাতন চক্রের সমাপ্তি এবং নতুন যুগের সূচনা প্রতিফলিত হয়েছে।

৩. ভয় ও অস্থিরতা: কবিতায় নতুন যুগের আগমন নিয়ে একটি ভয়ানক অনুভূতি রয়েছে। “রাফ বিয়াস্ট”-এর চিত্রকল্প একটি অন্ধকার যুগের আগমন বোঝায়, যা অস্থিরতা ও ধ্বংস নিয়ে আসবে।

৪. ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সংকট: ইয়েটস খ্রিস্টীয় ধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। “দ্বিতীয় আগমন” সাধারণ খ্রিস্টীয় পুনরুত্থান নয়; এটি একটি নতুন শক্তির আগমন বোঝায়, যা ভালো নয়, বরং অন্ধকার ও হিংস্রতার প্রতীক।

৫. নতুন যুগের আগমন: কবিতায় পুরানো মূল্যবোধের মৃত্যু এবং একটি নতুন যুগের প্রতিষ্ঠা দেখা যায়। তবে এই নতুন যুগ শান্তি বা উন্নতির পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা ও হিংসার যুগ হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ Look Back in Anger Bangla Summary and Analysis

৬. মানবজাতির ভ্রান্তি ও দুর্নীতি: ইয়েটস মানবজাতির আত্মমুখীতা এবং নৈতিক পতনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যা সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

এই বিষয়বস্তুগুলো কবিতাটিকে গভীর অর্থবহ এবং তাৎপর্যময় করে তোলে। এটি শুধু ইয়েটসের যুগের সমস্যাগুলো নয়, মানবজাতির সার্বজনীন সংকটকেও তুলে ধরে।

The Second Coming কবিতার Symbols

১. রাফ বিয়াস্ট (Rough Beast): এটি একটি হিংস্র এবং অন্ধকারময় শক্তির প্রতীক, যা একটি নতুন যুগের আগমন এবং বিশৃঙ্খলার নির্দেশ করে। এটি সভ্যতার নৈতিক পতন এবং মানবজাতির অন্ধকার ভবিষ্যতের চিত্র।

২. ঘূর্ণায়মান চক্র (Gyre): এটি ইয়েটসের ঐতিহাসিক তত্ত্বের প্রতীক, যেখানে মানব সভ্যতা চক্রাকারে চলে। একটি চক্রের সমাপ্তি এবং নতুন চক্রের সূচনা ঘটে বিশৃঙ্খলা ও পরিবর্তনের মাধ্যমে।

৩. বাজপাখি এবং বাজপালক (Falcon and Falconer): এটি নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং বিশৃঙ্খলার প্রতীক। বাজপাখি এবং বাজপালকের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া বিশ্বে ভারসাম্যহীনতার ইঙ্গিত দেয়।

৪. বিবর্ণ বিশ্ব (Blood-dimmed Tide): এটি সহিংসতা, যুদ্ধ, এবং মানবজাতির নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতীক। এটি এমন এক পৃথিবীর চিত্র তুলে ধরে যা রক্ত ও হিংসায় ভরে গেছে।

৫. যিশুর দ্বিতীয় আগমন (The Second Coming): এটি প্রচলিত খ্রিস্টীয় ধারণার একটি বিকল্প চিত্র, যা শান্তি বা মুক্তির পরিবর্তে ধ্বংস এবং অন্ধকার যুগের সূচনাকে নির্দেশ করে।

The Second Coming কবিতার Literary Devices

১. চিত্রকল্প (Imagery): কবিতায় “ব্লাড-ডিমড টাইড”, “রাফ বিয়াস্ট”, এবং “স্পিরিটাস মুন্ডি”-এর মতো চিত্রকল্প মানবজাতির বিশৃঙ্খলা এবং ভয়াবহ ভবিষ্যৎকে জীবন্ত করে তুলেছে।

২. প্রতীকবাদ (Symbolism): পুরো কবিতায় প্রতীক ব্যবহৃত হয়েছে, যা গভীর দার্শনিক অর্থ বহন করে। প্রতীকগুলো সভ্যতার পতন এবং পুনর্জন্মের ধারাকে বোঝায়।

৩. অনুপ্রাস (Alliteration): “Turning and turning in the widening gyre” লাইনে শব্দের পুনরাবৃত্তি একটি সুরেলা গতি এবং ছন্দ তৈরি করেছে।

৪. বিরোধ (Contrast): পুরানো এবং নতুন যুগের মধ্যে বিরোধ, বিশৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবের মধ্যে তুলনা কবিতার মূল বিষয়বস্তু।

৫. ধর্মীয় অলংকার (Religious Allusion): “The Second Coming” এবং “Bethlehem” শব্দগুচ্ছ খ্রিস্টীয় ধর্মের প্রতীক, যা নতুন যুগের আলোচনায় নতুন অর্থ যোগ করে।

৬. উদ্ঘোষণা (Apostrophe): কবিতায় বক্তা পৃথিবীর ভয়াবহ অবস্থার কথা বলে একটি নতুন যুগের আগমনের সম্ভাবনা উদ্ঘাটন করেন।

৭. চিত্রকল্পময় ভাষা (Vivid Diction): ইয়েটস এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন যা একটি দৃশ্যমান এবং ভীতিকর আবহ তৈরি করে, যেমন “shape with lion body and the head of a man”।

The Second Coming Bangla Summary

“The Second Coming” আইরিশ কবি W. B. Yeats-এর একটি কবিতা। এটি তার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং আয়ারল্যান্ডে Easter Rising এর পরে ১৯১৯ সালে লেখা একটি কবিতা। কবিতাটিকে ইয়েটসের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী রচনাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি তার গভীর বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। কারণ তিনি মনে করেন পৃথিবী বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর একটি নতুন এবং অশান্ত যুগে প্রবেশ করছে। কবিতাটি দুইটি স্তবকে বিভক্ত এবং ২২ টি লাইন রয়েছে। 

প্রথম স্তবকটিতে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘুরতে থাকা একটি বাজপাখির image/চিত্র আধুনিক বিশ্বের বিশৃঙ্খলার রূপক যেখানে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ এবং কাঠামো ভেঙে পড়েছে। তিনি বঝাতে চেয়েছেন যে, শাসিতরা আর শাসকদের মানতে চাচ্ছেনা। সরকার তার কনট্রোলিং পাওয়ার হারিয়ে ফেলেছে। ধর্মীয় রীতিনীতি হারিয়ে গেছে এবং খারাপ কাজগুলোকে বাহবা দেয়া হচ্ছে। চারিদিকে রক্তের খেলা শুরু হয়েছে। পৃথিবী একদম সুবিধাজনক স্থানে নেই। 

আরো পড়ুনঃ The Caretaker Bangla Summary and Analysis 

দ্বিতীয় স্তবকটিতে, ইয়েটস একটি “rough beast”-এর চিত্র উপস্থাপন করেছেন যেটি বেথলেহেমের দিকে ঝুঁকছে যা সহিংসতা এবং অভ্যুত্থান মাধ্যমে গঠিত একটি নতুন যুগের আগমনকে প্রতিনিধিত্ব করে। স্পিরিটাস মুন্ডি একটি দানবীয় প্রাণী (“rough beast”) যেটি খুবই শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর। এর শরীর সিংহের মতো কিন্তু মাথা মানুষের মতো। 

অনেক পাঠক বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে সর্বগ্রাসীবাদ ও ফ্যাসিবাদের উত্থানের প্রতীক হিসেবে “rough beast” কে ব্যাখ্যা করেছেন। কবি বলতে চাচ্ছেন, পৃথিবীর অবস্থা এমন হয়েছে যে খুব নিশ্চয় এই সভ্যতার পরিবর্তন বা বিপর্যয় শুরু হবে। তবে এই পরিবর্তন আগের পরিবর্তনের মতো হবেনা। ফার্স্ট কামিং ছিল মানুষের কল্যাণের জন্য যীশু খ্রিস্টের আগমন। কিন্তু সেকেন্ড কামিং হবে ভয়ঙ্কর যা চারিদিকে শুধু ফিতনা ছড়াবে। অর্থাৎ তিনি মানুষদেরকে সতর্ক করছেন। 

ওভারঅল, “The Second Coming” শক্তিশালী এবং মানুষের মনে কিয়ামতের ভাবনা আনতে সক্ষম একটি কবিতা যা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগের অনুভূতিকে ধারণ করে। এটি ইয়েটসের বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে যে বিশ্ব একটি নতুন এবং অশান্ত যুগে প্রবেশ করছে এবং এটি আজও পাঠকদের কাছে মানব অবস্থার একটি শক্তিশালী ভাষ্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

Sima Khatun
Sima Khatun

আমি সিমা খাতুন। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স
কমপ্লিট করেছি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য সহজভাবে শেখাতে কাজ করি। শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই আমার লক্ষ্য।

Articles: 128