Tintern Abbey Bangla Summary 

Tintern Abbey Bangla Summary 

Brief Biography of William Wordsworth

Tintern Abbey Bangla Summary 

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ৭ এপ্রিল, ১৭৭০ সালে ইংল্যান্ডের ককারমাউথ, কাম্বারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী। ছোটবেলায় তার মা-বাবা উভয়ই মারা যান, যার কারণে তিনি এবং তার ভাইবোনেরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। শৈশব থেকেই প্রকৃতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা গড়ে ওঠে, যা তার পরবর্তী কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওয়ার্ডসওয়ার্থ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনেই তিনি সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী হন এবং ফ্রান্স ভ্রমণের সময় ফরাসি বিপ্লব তার মনে গভীর প্রভাব ফেলে।

১৭৯৮ সালে, তিনি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের সঙ্গে যৌথভাবে Lyrical Ballads প্রকাশ করেন। এই বইটি ইংরেজি সাহিত্যে রোমান্টিক যুগের সূচনা করে। ওয়ার্ডসওয়ার্থের অনেক কবিতা প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মানব অনুভূতির মধ্যে সম্পর্ক তুলে ধরে। তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • Tintern Abbey
  • I Wandered Lonely as a Cloud
  • Ode: Intimations of Immortality

ওয়ার্ডসওয়ার্থ ১৮০২ সালে মেরি হাচিনসনকে বিয়ে করেন। তাদের পাঁচটি সন্তান ছিল। তার ব্যক্তিগত জীবনে দুঃখও ছিল, যেমন সন্তান হারানোর বেদনা, যা তার লেখায় প্রভাব ফেলেছিল।

আরো পড়ুনঃ Ode to a Nightingale Bangla Summary

ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতির কবি হিসেবে পরিচিত। তার কবিতায় প্রকৃতি, শিশুসুলভ সরলতা, এবং মানুষের অন্তর্দৃষ্টির মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের গভীর সংযোগ আমাদের জীবনের মূল সৌন্দর্য এবং শান্তি আনতে পারে। ১৮৪৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডের Poet Laureate নির্বাচিত হন।

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ২৩ এপ্রিল, ১৮৫০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর, তার স্ত্রী মেরি তার অমর কাব্যগ্রন্থ The Prelude প্রকাশ করেন, যা তাকে রোমান্টিক যুগের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতা প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মানবিক অনুভূতি, এবং সরলতার প্রশংসায় পূর্ণ। তার সাহিত্যকর্ম ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক যুগের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং তাকে ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।

Tintern Abbey Key Facts 

Author: William Wordsworth (1770-1850).

Title of the Author: Poet Laureate of the United Kingdom from (1843-50)/ Most influential romantic poet/ Lake Poet/ Poet of Nature 

Full Title: “Lines composed a few miles above Tintern Abbey, on revisiting the bank of the wye during a tour July 13, 1798.”

Total Lines: 162

Genre: Romantic Poetry

Published Date: 1798, as part of the collection “Lyrical Ballads.” There was a revised edition published in 1800 as well.

Written Date: 13 July, 1798.

Form: Ode

Meter: Blank Verse

Tone: Awe-filled, respectful, wise

Stanza: 5

Setting: Time Setting: During the summer month of July in the year 1798.

Place Setting: It is on the banks of the Wye River in southeast Wales, north of the big city of Cardiff.

Abbey বলতে কী বোঝায়?

Abbey হচ্ছে মঠ বা খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের ধর্ম চর্চার জায়গা। Tintern abbey, Tintern নামক গ্রামে অবস্থিত। জায়গাটি Wales এর Monmouthshire এর Wye নদীর তীরে।

Tintern Abbey Themes

১. প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং তার প্রভাব: ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতিকে শুধু সৌন্দর্যের উৎস নয়, বরং মানব মনের শান্তি ও উন্নতির প্রধান মাধ্যম হিসেবে দেখিয়েছেন। কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রকৃতি তাকে জীবনের কঠিন মুহূর্তে আশ্রয় ও শান্তি দিয়েছে। প্রকৃতির সৌন্দর্য তার চিন্তাকে গভীর এবং আত্মাকে পবিত্র করেছে।

২. স্মৃতি ও তার শক্তি: কবিতায় স্মৃতির গুরুত্ব বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেন, অতীতে দেখা টিনটার্ন অ্যাবের সৌন্দর্যের স্মৃতি তার বর্তমান জীবনে শক্তি ও আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মৃতি শুধু অতীতকে ধরে রাখে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়।

আরো পড়ুনঃ Ode on a Grecian Urn Bangla Summary 

৩. মানব জীবন ও প্রকৃতির সংযোগ: কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতি ও মানুষের গভীর সম্পর্কের কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রকৃতি মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সুর প্রকৃতপক্ষে মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

৪. আধ্যাত্মিকতা ও প্রকৃতি: ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতিকে আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি মনে করেন, প্রকৃতির মধ্যে একধরনের পবিত্রতা রয়েছে যা মানব আত্মাকে আলোকিত করতে পারে। প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তিনি জীবনের গভীরতর অর্থ উপলব্ধি করেন।

৫. বয়সের সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার জীবনের দুই পর্যায়ের মধ্যে তুলনা করেছেন—যখন তিনি তরুণ ছিলেন এবং যখন তিনি পরিণত হয়েছেন। তরুণ বয়সে প্রকৃতির প্রতি তার আকর্ষণ ছিল সরল এবং প্রাথমিক। তবে পরিণত বয়সে তিনি প্রকৃতির প্রতি গভীর আধ্যাত্মিক এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছেন।

৬. ভ্রাতৃপ্রেম এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশা: কবিতার শেষ অংশে কবি তার বোন ডরোথির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা করেন, তার বোনও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং তার আধ্যাত্মিক প্রভাব উপভোগ করবেন। প্রকৃতি তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে শান্তি ও আনন্দ দেবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

Tintern Abbey প্রকৃতি, স্মৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং মানব জীবনের গভীর অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। এটি প্রকৃতি এবং মানুষের সম্পর্ককে গভীরভাবে উপলব্ধি করিয়ে দেয়। ওয়ার্ডসওয়ার্থ দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রকৃতি আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে।

Tintern Abbey Background

William Wordsworth ১৭৯৩ সালে ২৩ বছর বয়সে প্রথম Tintern Abbey তে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তার ৫ বছর পর ১৭৯৮ সালে, ২৮ বছর বয়সে তিনি আবারও তার বোন Dorothy কে নিয়ে Tintern Abbey তে ঘুরতে যান। এবার Tintern Abbey ভ্রমণের পর  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে তিনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করেন তার বর্ণনা দিয়ে Tintern Abbey কবিতাটি লিখেন।

অর্থাৎ তিনি আগে সবকিছু দেখেছেন, এরপরে শান্ত পরিবেশে যখন তার সবকিছু মনে পড়েছে, তখন তিনি কবিতাটি লিখেছেন। ১৭৯৮ সালে কবিতাটি Wordsworth ও Coleridge এর  Collection of poems “Lyrical Ballads” এ প্রকাশিত হয়। আর Lyrical Ballads কে সমর্থন করে ১৮০২ সালে Wordsworth একটা প্রবন্ধ লিখেন, যার নাম “Preface to Lyrical Ballads”. 

Tintern Abbey Bangla Summary

৫ বছর পরে দ্বিতীয়বার কবি Tintern abbey ভ্রমণ করতে যান। সেখানে যাওয়ার পথে wye নদীর পানির কলকল শব্দ তিনি শুনতে পান। তিনি দেখতে পান উঁচু পাহাড়গুলো। এসব তার মনে প্রভাব ফেলে। এরপর তিনি Sycamore গাছের ছায়ায় বসে চারপাশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। তিনি একটি কুটির দেখতে পান। তার পাশেই সবুজে আচ্ছাদিত বন দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ফল ধরে আছে এসব গাছে। এছাড়াও কবি দেখতে পান, বেড়া দেওয়া ছোটো ছোটো সারি সারি গাছ। আর তার পাশের উপত্যকা থেকে উড়তে দেখেন ধোয়ার কুন্ডুলি। এসব এই নির্দেশ করছে যে, যেখানে গৃহহীন সন্ন্যাসীরা নির্জনে বসবাস করছে। এই গ্রাম্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কবির মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এই প্রকৃতির মাঝে তিনি তার হৃদয়ের আনন্দ উপভোগ করেন।

আরো পড়ুনঃ Kubla Khan Bangla Summary and Analysis

প্রথমবার এখান থেকে যাওয়ার পরে সুদীর্ঘ পাঁচ বছর কবি এই মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে না পেলেও তার হৃদয় থেকে Tintern Abbey এর এই দৃশ্য মুছে যায়নি। শহরের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে শত ব্যস্ততার মাঝে যখন কবি অস্থির অনুভব করতেন, তখন Tintern Abbey এর এই মনোরম দৃশ্যের স্মৃতি কবির মনে ভেসে উঠতো। এটাই তার হৃদয়কে আনন্দ প্রদান করতো। তাই কবি অনুভব করেন প্রকৃতি মানুষকে আনন্দ ও মানসিক শান্তি প্রদান করে। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির রয়েছে হৃদয়ের নিরাময় শক্তি, যা কিনা মানুষের দুঃখ, কষ্ট নিরাময় করে। কবি অনুভব করেন, তিনি আজ যেই আনন্দ উপভোগ করছেন, সেইটা শুধু বর্তমানের বা আজকের জন্য নয় বরং ভবিষ্যতেও কবির দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের জন্য জন্য আনন্দের উৎস হবে।️

কবি তার বোন Dorothy কে সম্বোধন করে তাকে প্রকৃতির সাঝেই মিশে যেতে বলেন। কবি বলেন, যে মানুষ প্রকৃতিকে ভালোবাসে, প্রকৃতি তাকে কখনোই ঠকায় না। প্রকৃতিকে ভালোবাসতে পারলে মনের ভেতরে এক অদ্ভুত আনন্দ ও প্রশান্তি পাওয়া যাবে। দুঃখ, ভয়, একাকিত্বতা ও বেদনার শেষ হবে। এই জায়গায় কবি তার বোনকে প্রকৃতির পূজারী (Pantheist-সর্বেশ্বরবাদী) হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কবিতাটি শেষ করেন।

প্রকৃতির প্রতি কবির দৃষ্টিভঙ্গি: 

প্রকৃতির প্রতি কবির দৃষ্টিভঙ্গিকে এই কবিতায় তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথমত, Boyish or Animals pleasures of Nature: তিনি শৈশবে প্রকৃতিতে এক প্রাণীর মতো আনন্দ উপভোগ করতেন। 

দ্বিতীয়ত, Physical or Sensuous Beauty of Nature: এই পর্যায়ে কবি প্রকৃতির বাহ্যিক সৌন্দর্য এর প্রতি পাগল ছিলেন অর্থাৎ শুধু প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হতেন। কিন্তু প্রকৃতির ডিপ ফিলোসফি তিনি অনুভব করতে পারতেন না। প্রথমবার Tintern Abbey তে গিয়ে তিনি প্রকৃতির শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন।

তৃতীয়ত, Spiritual or Intellectual Beauty of Nature: এই পর্যায়ে কবি প্রকৃতির আর শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করেন না বরং প্রকৃতির মাঝে যে লুকায়িত অর্থ আছে, তা উপলব্ধি করেন। এই জায়গায় তিনি প্রকৃতির মাঝে স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করেন। তিনি ভাবতে থাকেন, নীল আকাশ, অস্তগামী সূর্য, সমুদ্র, মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টিকর্তা বসবাস করেন। তার এই ধারণাই pantheism (সর্বেশ্বরবাদ) নামে পরিচিত। এজন্য Wordsworth কে Pantheist বলা হতো।

Sima Khatun
Sima Khatun

আমি সিমা খাতুন। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স
কমপ্লিট করেছি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য সহজভাবে শেখাতে কাজ করি। শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই আমার লক্ষ্য।

Articles: 128